ইয়েমেনের উপকূলীয় শহর হোদেইদাহে মার্কিন সেনাবাহিনীর বিমান হামলার পর শুক্রবার হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। এর জবাবে, হুথি যোদ্ধারা ইসরায়েলের তেল আবিবের উপকণ্ঠে অবস্থিত জাফা দখলকৃত এলাকা লক্ষ্য করে ‘জুলফিকার’ নামে একটি অত্যাধুনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি মেহর নিউজের এক বিবৃতিতে এই অগ্রগতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের কাছে একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়েছিল। এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলাটি মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে হোদেইদার বিভিন্ন বন্দরে মার্কিন বিমান হামলার সাথে মিলে যায়, যার ফলে কমপক্ষে ৮০ জন নিহত এবং ১৭১ জন আহত হয়। প্রতিশোধ হিসেবে, ইয়েমেনি বাহিনী একটি সমন্বিত সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেয়, যার মধ্যে দুটি মার্কিন বিমানবাহী রণতরী, ট্রুম্যান এবং ভিনসনের উপর হামলা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এছাড়াও, ইয়েমেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সানা প্রদেশে একটি মার্কিন MQ-9 ড্রোন ভূপাতিত করার খবর দিয়েছে, যা আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যে গোপন নজরদারির জন্য ব্যবহার করে আসছে, এবং তাদের আক্রমণ ক্রমশ ঘন ঘন হয়ে উঠছে। ইয়েমেনের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার অগ্রগতি এই অঞ্চলে সামরিক ভারসাম্যের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। মূলত ইরানি প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি জুলফিকার ক্ষেপণাস্ত্রটি কেবল একটি সামরিক দাবিই নয়, বরং ইসরায়েলের জন্য একটি কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জও, কারণ এটি সরাসরি ইসরায়েলি ভূখণ্ডকে লক্ষ্য করে।
এই আক্রমণের প্রতীকী তাৎপর্য রয়েছে, কারণ এটি বেন গুরিওন বিমানবন্দরের চারপাশের নিরাপত্তা পরিধিকে চ্যালেঞ্জ করে। যদিও ইসরায়েল এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি, একটি সফল হামলা জাতির জন্য হুমকির মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান ইসরায়েল-ইরান সংঘাত ইয়েমেনে তার প্রভাব বিস্তার করছে বলে মনে হচ্ছে, যা মধ্যপ্রাচ্যে চলমান জটিল ভূ-রাজনৈতিক গতিশীলতা তুলে ধরে।