বাংলাদেশ আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’
দক্ষিণ এশিয়ার বঙ্গোপসাগর বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের একটি উল্লেখযোগ্য ঝুঁকির মুখোমুখি। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এই ঘূর্ণিঝড়গুলির প্রকৃতি, পথ এবং শক্তি ক্রমশ অপ্রত্যাশিত এবং বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। তীব্র তাপপ্রবাহ বিভিন্ন অঞ্চলে প্রভাব ফেলছে, তাই ‘শক্তি’ নামক একটি সম্ভাব্য শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। তাপপ্রবাহ দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করার সাথে সাথে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির বিষয়ে উদ্বেগ আরও তীব্র হচ্ছে।
সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু ও আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ মোস্তফা কামাল পলাশ সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন যে ২৪ থেকে ২৮ মে বঙ্গোপসাগরে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে, ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘শক্তি’ শ্রীলংকার প্রস্তাবিত । তিনি উল্লেখ করেছেন যে ঘূর্ণিঝড়টি ২৪ থেকে ২৬ মে ভারতের ওড়িশা উপকূল থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূল পর্যন্ত এলাকায় আঘাত হানতে পারে, যার ঝুঁকি পশ্চিমবঙ্গ এবং খুলনার জন্য সবচেয়ে বেশি।
বাংলাদেশ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ দল (BWOT) ইঙ্গিত দিয়েছে যে ১৬ থেকে ১৮ মে সমুদ্রে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে, যা সম্ভবত নিম্নচাপ ব্যবস্থা এবং তারপরে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এদিকে, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এখনও ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি সম্পর্কে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেনি তবে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সময়োপযোগী আপডেট প্রদান করবে। বিশেষজ্ঞরা উপকূলীয় বাসিন্দাদের মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত থাকার, মাছ ধরার নৌকাগুলিকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করার এবং জরুরি অবস্থার জন্য আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।