বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখারপুলে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের গুলিতে শিক্ষার্থী আনাস হত্যার ঘটনায় ৮ জনকে অভিযুক্ত

ট্রাইব্যুনালে জুলাই আগস্ট গণহত্যার এটি প্রথম পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেওয়া হয়

৫ আগস্ট রাজধানীর চানখারপুলে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের গুলিতে ছাত্র আনাস হত্যাকাণ্ডে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে ট্রাইব্যুনালে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত সংস্থা।

সোমবার (২১ এপ্রিল) ট্রাইব্যুনালে দেওয়া জুলাই-আগস্ট গণহত্যার প্রথম পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন এটি।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, জুলাই-আগস্টে রাজধানীর চানখারপুলে সংঘটিত গণহত্যার তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এতে অভিযুক্তের সংখ্যা ৮ জন।

সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই বক্তব্য দেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, ১৯৫ দিন তদন্তের পর গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৯০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সময়কাল ছিল ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট।

ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন পরিদর্শক আরশাদ, কনস্টেবল মো. সুজন, কনস্টেবল ইমাজ হোসেন ইমন, কনস্টেবল নাসিরুল ইসলাম। ডিএমপির প্রাক্তন কমিশনার হাবিবুর রহমান এবং আরও বেশ কয়েকজন পলাতক।

প্রধান প্রসিকিউটর বলেন, ঢাকা মহানগরীর চানখারপুল এলাকায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলাকালীন নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের উপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে একটি হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল। এতে শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদী হাসান জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক এবং মানিক মিয়া শাহরিক নিহত হন।

তদন্তে জানা গেছে যে পলাতক আসামি হাবিবুর রহমান এবং অন্যান্য আসামিরা সরাসরি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বা তদারকি করেছিলেন। তারা তাদের অধস্তনদের নির্দেশ দিয়ে, সহযোগিতা করে এবং সহায়তা করে এই হত্যাকাণ্ডে ভূমিকা পালন করেছিলেন। এছাড়াও, তারা তাদের অধস্তনদের এই অপরাধ করতে বাধা দেননি বা পরে কোনও পদক্ষেপ নেননি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইন অনুসারে এই কার্যকলাপ মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচিত এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

প্রসিকিউটর আরও বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে, মোট ৭৯ জন সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে ১৯টি ভিডিও, ১১টি সংবাদপত্রের প্রতিবেদন, ২টি অডিও, ১১টি বই এবং প্রতিবেদন এবং ৬টি মৃত্যু সনদ রয়েছে।

Leave a Comment