প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার বিষয়টি কেবল বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
আমরা সকলকে নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমাদের নাগরিকদের গণতান্ত্রিক পছন্দকে সম্মান করার আহ্বান জানাই।”
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ভারতের অবস্থান সম্পর্কে বাসসের জবাবে তিনি মন্তব্য করেন, “আওয়ামী লীগের দ্বারা সংঘটিত নৃশংসতার ক্ষত এখনও প্রকট।”
শফিকুল আলম আরও বলেন, “আমরা দেখেছি কিভাবে আওয়ামী লীগ তাদের ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী ও দুর্নীতিগ্রস্ত শাসনকালে আমাদের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে সম্পূর্ণরূপে ভেঙে দিয়েছে, আমাদের রাজনৈতিক দৃশ্যপটকে উল্লেখযোগ্যভাবে সীমিত করেছে এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ন করেছে।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জড়িত বাদী ও সাক্ষীদের রক্ষা করার জন্য আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা অপরিহার্য।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা স্মরণ করি কীভাবে আওয়ামী লীগ বারবার প্রহসনমূলক নির্বাচনের আশ্রয় নিয়েছে এবং আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া ও প্রতিষ্ঠানগুলোর অপূরণীয় ক্ষতি করেছে।’
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনর্গঠনের জন্য একটি সংস্কার প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত রয়েছে।